September 8, 2014

ঘুরে আসুন চিংড়ি ঝর্ণা থেকে - চিংড়ি ঝর্ণা ভ্রমণের বিস্তারিত তথ্য

চিংড়ি ঝর্ণার অবস্থান বান্দরবান জেলায়। বগালেক থেকে কেওকারাডং যাওয়ার পথে ঘণ্টাখানেক হাঁটার পর চিংড়ি ঝর্ণার দেখা মিলবে।

যেভাবে যাবেনঃ বান্দরবান মানেই পাহাড়ের দেশ, বান্দরবান মানেই সবুজের দেশ, বান্দরবান মানেই ঝর্ণার দেশ। আর ঝর্ণা শব্দটাই কেমন যেন রিনিঝিনি ছন্দময় আনন্দময় আবহ জাগায় শরীর ও মনে। ইচ্ছে হয় ওর পানির সৌন্দর্য্য আর শীতলতায় ধুয়ে ফেলি জীবনের সব কালিমা, গাইডকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পেরেছিলাম এখানে নাকি এক সময় চিংড়ি মাছ পাওয়া যেতো। কিন্তু ঝর্ণার পানিতে চিংড়ি মাছ ? এটা আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। পরে আমাকে গাইড বলে চিংড়ি আর থাকবে কিভাবে পাহাড়ীরা সব “খাই-দাই” সাবাড় করছে সেও ৭/৮ বছর আগেই। বগালেক থেকে কেওকারাডাং এর পথে ঘন্টাখানেকের পাহাড়ি পথ পাড়ি দিলেই এই চমৎকার ঝর্ণাটা পাবেন, কিন্তু প্রাথমিকভাবে যেটুকু ঝর্ণা দেখা যায় এটুকুই কিন্তু চিংড়ি ঝর্ণা নয়। আসল টুকু দেখতে হলে আপনাকে বিশাল বিশাল পিচ্ছিল পাথরগুলো পেরিয়ে আর একটু ভেতরে ঢুকে ডান দিকে ৯০ ডিগ্রি ঘুরতে হবে । দেখবেন অসাধারণ একটি ঝর্ণা, যেন বাশ বাগানের মাথার অনেক উপর থেকে একেবেঁকে নেমে আসছে চমৎকার একটা স্রোতধারা।




কিভাবে যাবেন বান্দরবনঃ
ঢাকা থেকে বান্দরবান সরাসরি বাসে যাওয়া যাবে- হানিফ, শ্যামলী, এস. আলমসহ আরও অনেক বাস।
চট্রগ্রাম থেকে যেতে চাইলে বহদ্দারহাট টারমিনাল থেকে পুরবী, পুরবানীতে যেতে পারেন।
ঢাকা থেকে সরাসরি বান্দরবান রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। ঢাকা থেকে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর সেখান থেকে পূরবী বা পূবার্নী বাসযোগ সরাসরি বান্দরবান যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর চট্টগ্রাম থেকে সোজা বান্দরবান; অথবা ডাইরেক্ট বান্দরবান যাওয়া যায়।

এবার রুটঃ
১. বান্দারবান-চান্দের গাড়িতে/৪ হুইল জিপে করে রুমা বাজার আসতে হবে-নাম এন্ট্রি করে আবার রুমা থেকে বগালেকের ঢালে নামিয়ে দিবে, মনে রাখা ভাল রুমা বাজার থেকে বিকাল ৪টার আগেই নাম এন্ট্রি করাতে হবে আর্মি ক্যাম্প-এ।
২. বগালেকের ১১৭৬ ফুট উঠার পর আবারও নাম এন্ট্রি করাতে হবে আর্মি ক্যাম্প-এ, এবার খাওয়া দাওয়া শেষে আবার ট্রেক্কিং করতে হবে, আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা হাটলেই এই চিংড়ি ঝরণা পাওয়া যাবে।
কোথায় থাকবেনঃ
১. বগালেকে থাকতে পারেন-বগালেকে থাকলে রাতের বেলায় অনেক মজা করতে পারবেন। যারা কেওকারাডং যাবেন তারা সেইদিনই চাইলে কেওকারাডং চলে যেতে পারেন, চিংড়ি থেকে কেওকারাডং যেতে ২/৩ ঘন্টা লাগবে।
২. রুমা বাজার ফিরে যেতে পারেন যদি হাতে সময় থাকে, রুমায় এসি হোটেল আছে।
রাত্রি যাপনের জন্য বগালেকে জেলা পরিষদের অর্থায়নে একটি রেষ্টহাউস নির্মান করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় বম উপজাতী সম্প্রসাদায় কিছু ঘর ভাড়ায় দিয়ে থাকে । বগালেকের পাড়েই বসবাসরত বম সম্প্রদায় পর্যটকদের জন্য রান্না-বান্নার ব্যবস্থা করে থাকে । রুমা বাজার থেকে প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার ক্রয় করে নেওয়াই শ্রেয়। উল্লেখ্য যে, নিরাপত্তার জন্য রুমা ও বগালেক সেনা ক্যাম্পে পর্যটকদের রিপোর্টে করতে হয়। স্থানীয় গাইড ছাড়া পায়ে হেটে রুমা থেকে অন্য কোন পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়া উচিত নয়।

কি খাবেনঃ
রুমা বাজার থেকে ডাল ভাত সবই পাবেন, বগালেকে গেলেও ডাল ভাত পাবেন, কিন্তু একটু আলাদা পাহাড়ী টেস্ট পাবেন।

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ Subarna Kumar Pal

আমাদের ফেসবুক পেজ ভিজিট করতে ক্লিক করুনঃ https://www.facebook.com/discover.our.bangladesh

No comments:

Post a Comment